এবার চিনির দাম সরকার নির্ধারণ করে দিক বা না দিক, তার তোয়াক্কা করছেন না মিল মালিকরা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকেই বাড়তি দামে তারা চিনি বিক্রি করবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় ট্যারিফ কমিশন বলছে, চিনির দাম নিয়ে কারসাজি করলে ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।
প্রায় এক বছর ধরে অস্থির চিনির বাজার। টিসিবির হিসাবে, এই সময়ে চিনির দাম বেড়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ। এর মধ্যে গত সোমবার চিনির দাম আরেক দফা বাড়ানোর সুপারিশ করেন মিল মালিকরা।
২২ জুন থেকে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ১৫০ টাকা ও খোলা ১৪০ টাকায় বিক্রির ঘোষণা দেয়। ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে এ দরের কথা জানিয়ে চিঠিও দিয়েছে তারা। এ বিষয়ে কমিশনের উপ প্রধান মাহমুদুল হাসান বলছেন, নতুন দাম নিয়ে পর্যালোচনা চলছে, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তবে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অটল মিলগুলো। এ বিষয়ে ইগলুর প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, এ মাসে দুবার চিঠি দেয়ার পরও কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি সরকার। তাই লোকসান কমাতে দাম বাড়ানো হচ্ছে।
তবে বাজার থেকে এখনই উধাও প্যাকেট চিনি। এখনই বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে। ভোক্তাদের অভিযোগ, আরেকবার দাম বাড়লে সেটি দেড়শো টাকা ছাড়িয়ে যাবে। কারণ বাজারে কোনো তদারকি নেই।